5
ধূসর পাণ্ডুলিপি ---
"ধূসর পাণ্ডুলিপি"-র কবিতাগুলো লেখা হয় ১৯২৫ - ১৯২৯ সালের মধ্যে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর সময়ে লেখা এই কাব্যগ্রন্থের কবিতার আত্মায় ছাপ ফেলেছে কবি-মনের এক সন্দেহ-সংশয়-বিষণ্ণতা। “আধুনিক কবিতা, যুগের ভেতরে পর্যবসিত হ’য়ে নষ্ট হ’য়ে যেতে পারে,” এবিশ্বাস জীবনানন্দ দাশের ছিল। এক অদ্ভূত টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে "ধূসর পান্ডুলিপি"-র শব্দ বুনেছেন তিনি। যে রোমাণ্টিক মনন, যে আত্মমগ্নতা দিয়ে কবি দেখেন “আকাশ ছড়ায়ে আছে নীল হয়ে আকাশে-আকাশে”, যে মাটির গল্প-মাঠের গল্প কবি বলতে থাকেন জীবনের তীব্র আস্বাদ পাবার আকাঙ্খায়, সেই গল্পেই মিশে থাকে এক হৃদয় মোচড়ানো ধূসর বিষণ্ণতার সুর। আমরা কেউই "তারে পারি না এড়াতে"। তবু মানবজন্মের ঘরে না এলেই ভালো হত অনুভব করেও এসে যে গভীরতর লাভ হল সেসবও বুঝে যান তিনি। তাই এই কাব্যগ্রন্থের কবিতায়, অবশেষে “জীবনেরে একবার ভালোবেসে” দেখার কথাই বলেন তিনি। তাই তো “মৃত্যুরেও তার সেই কবরের গহ্বরে আঁধারে” "জীবন ডাকিতে আসে”, “ফাল্গুন-রাতের গন্ধ ব’য়ে”। আর তাই পৃথিবীর সৌন্দর্য মেখে নিয়ে একদিন চলে যাব এই সত্য উপলব্ধি ক’রেও, পৃথিবীর দিকে ছুটে যাওয়া মন নিয়ে জীবনানন্দের কবিতার নিসর্গের কাছটিতে এসেই ঘেঁষে বসতে হয়। যাবতীয় সংশয়-একাকীত্ব-ধূসর বিষণ্ণতা পেরিয়ে প্রকৃতির সাথে সম্পৃক্ত জীবনের স্বাদ পেতে শুনুন "ধূসর পাণ্ডুলিপি"।
© 2021 Storyside IN (หนังสือเสียง ): 9789354348723
วันที่วางจำหน่าย
หนังสือเสียง : 7 กันยายน 2564
5
ধূসর পাণ্ডুলিপি ---
"ধূসর পাণ্ডুলিপি"-র কবিতাগুলো লেখা হয় ১৯২৫ - ১৯২৯ সালের মধ্যে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর সময়ে লেখা এই কাব্যগ্রন্থের কবিতার আত্মায় ছাপ ফেলেছে কবি-মনের এক সন্দেহ-সংশয়-বিষণ্ণতা। “আধুনিক কবিতা, যুগের ভেতরে পর্যবসিত হ’য়ে নষ্ট হ’য়ে যেতে পারে,” এবিশ্বাস জীবনানন্দ দাশের ছিল। এক অদ্ভূত টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে "ধূসর পান্ডুলিপি"-র শব্দ বুনেছেন তিনি। যে রোমাণ্টিক মনন, যে আত্মমগ্নতা দিয়ে কবি দেখেন “আকাশ ছড়ায়ে আছে নীল হয়ে আকাশে-আকাশে”, যে মাটির গল্প-মাঠের গল্প কবি বলতে থাকেন জীবনের তীব্র আস্বাদ পাবার আকাঙ্খায়, সেই গল্পেই মিশে থাকে এক হৃদয় মোচড়ানো ধূসর বিষণ্ণতার সুর। আমরা কেউই "তারে পারি না এড়াতে"। তবু মানবজন্মের ঘরে না এলেই ভালো হত অনুভব করেও এসে যে গভীরতর লাভ হল সেসবও বুঝে যান তিনি। তাই এই কাব্যগ্রন্থের কবিতায়, অবশেষে “জীবনেরে একবার ভালোবেসে” দেখার কথাই বলেন তিনি। তাই তো “মৃত্যুরেও তার সেই কবরের গহ্বরে আঁধারে” "জীবন ডাকিতে আসে”, “ফাল্গুন-রাতের গন্ধ ব’য়ে”। আর তাই পৃথিবীর সৌন্দর্য মেখে নিয়ে একদিন চলে যাব এই সত্য উপলব্ধি ক’রেও, পৃথিবীর দিকে ছুটে যাওয়া মন নিয়ে জীবনানন্দের কবিতার নিসর্গের কাছটিতে এসেই ঘেঁষে বসতে হয়। যাবতীয় সংশয়-একাকীত্ব-ধূসর বিষণ্ণতা পেরিয়ে প্রকৃতির সাথে সম্পৃক্ত জীবনের স্বাদ পেতে শুনুন "ধূসর পাণ্ডুলিপি"।
© 2021 Storyside IN (หนังสือเสียง ): 9789354348723
วันที่วางจำหน่าย
หนังสือเสียง : 7 กันยายน 2564
ก้าวเข้าสู่โลกแห่งเรื่องราวอันไม่มีที่สิ้นสุด
คะแนนโดยรวมอ้างอิงจากการให้คะแนน 2
ดาวน์โหลดแอปเพื่อเข้าร่วมการสนทนาและเพิ่มบทวิจารณ์
ภาษาไทย
ประเทศไทย