অদ্বৈত

'অদ্বৈত' অগ্নি-মোহনা ট্রাইলজির তৃতীয় উপন্যাস। প্রথম দুইটি ছিল ‘শরীরী-অশরীরী’ আর ‘বহ্নিপতঙ্গ’। ‘শরীরী-অশরীরী’ আর ‘বহ্নিপতঙ্গ’ উপন্যাসে বর্ণিত ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার প্রায় এক বছর পর শ্রীশৈলম পর্বতে বেড়াতে এসেছে তরুণ মহাকাশ বিজ্ঞানী অগ্নি, আর তার নৃত্যশিল্পী স্ত্রী মোহনা। শ্রীশৈলম পর্বত রহস্যময়; আজও ওখানে ঘুরে বেড়ান উচ্চকোটির সাধকেরা । জঙ্গলে জঙ্গলে গোপন গুহায় চলে সিদ্ধ রসায়নের সাধনা । এখানেও ওদের ঘিরে ঘনিয়ে ওঠে রহস্য । শ্রীশৈলম চত্বরে মোহনাকে দেখে ফেলেন একজন তান্ত্রিক । কয়েক হাজার বছর আগের সংস্কৃত বই ঘিরে চালিত হয় মোহনার ভাগ্য। অন্ধকার গুহায় মশালের আলোতে চামুন্ডা মূর্তির সামনে খড়গ হাতে এগিয়ে আসে ডাকিনী। বন্দিনী মোহনার গলায় ঠেকায় সেই শাণিত অস্ত্র । একই সময় কলকাতায় পার্ক স্ট্রীটে ঘনিয়ে ওঠে রহস্য । মোহনার বান্ধবী লর্নার ঘরে একটি লুকানো ডায়েরী। লেখা আছে পুরনো কলকাতার কিছু ইতিহাস , যার থেকে ও জেনে যায় অর বংশের অভিশাপের কথা । জড়িয়ে আছে তিব্বতের ইতিহাস । আর, বলা আছে একটি তিব্বতী তন্ত্র সাধনার পুতুলের কথা । অগ্নির কাছে এমন একটা পুতুল ছিল না? লর্নাকে খুঁজে পেতে হবে সেই নৃসিংহ পর্বত, যেখানে নৃসিংহদেব ঘুমিয়ে থাকেন । অন্ধকার গুহায় অগ্নি এগিয়ে আসে লর্নার দিকে। অর চোখ দুটি শ্বাপদের মত জ্বলছে । তারপর ?

วันเปิดตัว

อีบุ๊ก: 31 ธันวาคม 2563