Step into an infinite world of stories
Crime
‘বিষের সুর ’ বাংলা ভাষায় একটি সাঙ্গীতিক রহস্য উপন্যাস। আহমেদাবাদ শহরের নিকটবর্তী একটি জায়গা কালিগাম। সেই কালিগামে রয়েছে একটি পরিত্যক্ত দুর্গ। আজও পর্যটকদের চোখের আড়ালে রয়ে গিয়েছে এই ধ্বংসস্তুপে পরিণত দুর্গ । কেউ যদি গিয়েও উপস্থিত হন, তবুও ভিতরে ঢোকার কোনো বন্দোবস্ত নেই। কালিগামের এই রহস্যময় ফোর্ট ঘিরে এই উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। তরুণ মহাকাশ বিজ্ঞানী অগ্নি, তার স্ত্রী নৃত্যশিল্পী ও সখের অভিনেত্রী মোহনা আর অসীম সাহসিনী সাংবাদিক লর্না আপনাদের রহস্যপ্রিয় মনের খোরাক যোগাবে, এই প্রত্যাশা রাখি। এই প্রসঙ্গে কিছু কথা বলে রাখি। ‘বিষের সুর’ উপন্যাসে ভারতীয় সঙ্গীত জগতের বেশ কিছু দিকপালের নাম এসেছে। এই মহান সঙ্গীতজ্ঞ মানুষেরা আমাদের শ্রদ্ধাভাজন। এই প্রণম্য মানুষদের ঘিরে কিছু কাহিনী গড়ে উঠেছে এই উপন্যাসে, যা অনেকাংশেই কল্পনার সঙ্গে বাস্তবের সাথ-সঙ্গত। সেই কারণে এই উপন্যাস কোনরকম ঐতিহাসিক প্রামান্য হিসেবেও ব্যবহৃত হবার জন্য নয়। উপন্যাসে উল্লিখিত কোনো চরিত্রের সঙ্গে বাস্তবের কোনো ব্যক্তিবিশেষের, বা কোনো ঐতিহাসিক চরিত্রের মিল নিতান্তই কাকতালীয়, এর জন্য লেখক দায়ী নন। ঐতিহাসিক কিছু চরিত্রের নাম এসেছে এই কাহিনীতে, কিন্তু তাদের ঘিরে বেশ কিছু কাহিনী লেখকের কল্পনা-প্রসূত, উপন্যাসের প্রয়োজনে । উপন্যাসে উল্লিখিত জায়গাগুলি অনেকাংশেই বাস্তব; কিন্তু তাকে ঘিরে গড়ে ওঠা কিছু কাহিনীও লেখকের কল্পনা-সঞ্জাত । কোনো ব্যক্তি বা সম্প্রদায়কে জ্ঞানত: লেখক আঘাত করেন নি; চেয়েছেন উপন্যাসে উল্লিখিত সব কিছুর প্রতিই শ্রদ্ধাশীল থাকতে। একটি প্রজেক্টের উল্লেখ করা হয়েছে এই উপন্যাসে, যা পুরোটাই কল্প-বিজ্ঞান, অন্তত আজকের তারিখে। উপন্যাসে ব্যবহৃত ছবিগুলি লেখকের নিজের তোলা; উপন্যাস লিখবার আগে লেখক কাহিনীতে বর্ণিত সব কয়টি ঐতিহাসিক জায়গা নিজে খুটিয়ে দেখে এসেছেন। শুধু পর্যটকের চোখ দিয়ে নয়, ঔপন্যাসিকের দৃষ্টি দিয়ে; যেন বাস্তব আর কল্পনার সাথ সঙ্গতে ছন্দপতন না হয়। লেখক বিজ্ঞান শিক্ষিত, নিজে কোনরকম অপ-বিজ্ঞান মানেন না, বা প্রচার করেন না, কিন্তু, তিনি উন্মুক্ত মনের অধিকারী। বিশ্বাস করেন যে আজ যা জ্ঞানের অগোচর, তা ভবিষ্যতে ব্যাখ্যাযোগ্য হয়ে উঠতে পারে। সংবেদনশীল মন অনেক কিছুই অনুভব করতে পারে, যা অনেকের বাক-মনের অগোচর।
Release date
Ebook: 31 December 2020
English
India